আপনি যখন কাউকে দেখবেন বা লক্ষ্য করবেন শুরুতে কোন জিনিসটা চোখে পড়বে? নিশ্চয় তার চেহারা। হ্যাঁ, মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন তাই। এমনকি শুধু মুখের সৌন্দর্য প্রথমবার দেখেই প্রেমে পড়ে যান অনেকেই। তবে জানেন কি? নারীদের ক্ষেত্রে পুরুষের চোখে আবেদনময়ী হতে আরো কিছু বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন। প্রথম দেখায় সুন্দর চেহারা বাদেও মেয়েদের আরো কয়েকটি বিষয় পুরুষের আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে।
সত্যিকার প্রেমিকরা কিন্তু সঙ্গীর সৌন্দর্য নয় বরং গুণ দেখে সম্পর্কে জড়ান। জানলে অবাক হবেন, প্রায় প্রতিটি পুরুষই তার জীবনসঙ্গীর মাঝে কয়েকটি গুণ খুঁজেন। জেনে নিন পুরুষরা নারীর কোন কোন গুণে মুগ্ধ হন-
বুদ্ধিমত্তা
শুধু রূপে নয় গুণের কদর রয়েছে নারীর। পুরুষরা সাধারণত কম বুদ্ধির নারীকে কম পছন্দ করেন। কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীর সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করেন। তবে তিনি অবশ্যই এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করবেন। তাই বুদ্ধিমত্তা শুধু যে গুণ, তা কিন্তু নয়। পুরুষকে আকর্ষিত করার অস্ত্রও বটে। জীবনসঙ্গীকে সব পুরুষরাই বুদ্ধিমতী হিসেবে দেখতে চান। বাকি জীবন যার সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা করছেন, তিনি যদি বুদ্ধিমতী হন তাহলে জীবনের যে কোনো পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
আত্মবিশ্বাস
একজন নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার আরো একটি বড় কারণ তার উচ্চ আত্মমর্যাদা। এ ধরনের নারীর প্রতি ছেলেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। একজন আত্মবিশ্বাসী মেয়ে স্বাধীনতা বজায় রাখে এবং জীবনের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেন। এমনকি সঙ্গী তার ওপর দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্ভর করতে পারে এবং সুরক্ষিত বোধ করে। উচ্চ আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নারীর প্রতি পুরুষরা আকর্ষণ বোধ করেন। একজন আত্মবিশ্বাসী নারী স্বাধীন এবং জীবনের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন। সবসময় যে পুরুষ সঙ্গীর উপরই নারী নির্ভর করবেন তা কিন্তু নয়, পুরুষরাও চান সঙ্গীর উপর নির্ভরশীল হতে এবং নিরাপদ বোধ করতে।
ফ্যাশন সচেতন
একসঙ্গে থাকতে হলে দুজন মানুষকেই হতে হবে ফ্যাশন সচেতন। তবে আপনার এই দিকটি পুরুষকে আকৃষ্ট করবে বেশি। অবশ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুইজনেরই ফ্যাশনের বিষয়ে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই বিষয়টি পুরুষদের চেয়ে নারীদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। এতে করে একজন ফ্যাশন সচেতন নারী আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও ফ্যাশন কোনো সম্পর্কে বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। তবে নারীর স্টাইলবোধ দেখেও অনেক পুরুষরা তার প্রতি টান অনুভব করেন।
রসবোধ
হাস্যরস বোধহীন ব্যক্তি বিরক্তিকর, পুরুষ হোক বা নারী। অনেক পুরুষেরা রসবোধ ভালো এমন নারীর প্রতি আকর্ষণবোধ করেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কৌতুক করতে পারেন। তারা তাদের রসিকতা দিয়ে একটি জমায়েতকে জীবন্ত করে তুলতে পারেন। হাসিখুশি নারীর প্রতি পুরুষরা সহজেই আকর্ষণ বোধ করেন। অনুভূতিহীন যে কেউই বিরক্তিকর হয়ে থাকেন। পুরুষ হোক বা নারী সবসময় হাসিখুশি থাকলে মন ভালো থাকে। তাই পুরুষরা হাসিখুশি নারীদের প্রতি মুগ্ধ হন।
ক্যারিয়ারের সফলতা
যদিও অনেকেই এই ব্যাপারটি অকপটে স্বীকার করতে চান না। তবে ক্যারিয়ারে সফল নারী পুরুষদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। আর্থিকভাবে সুরক্ষিত ও পেশাগতভাবে সফল নারীরা পুরুষদের কাছে বেশি আবেদনময়ী। এটি তাদের সন্তুষ্টি প্রদান করে যে তাদের সঙ্গী শুধুমাত্র অর্থের প্রয়োজনে তার কাছে থাকছে না। নারী তার ক্যারিয়ারে কতটা সফল, সেটিও মুগ্ধতা ছড়ায়! যদিও পুরুষরা তা জানান দেন না। তবে ক্যারিয়ারে সফল নারীদের প্রতি পুরুষরা সম্মান ও ভালোবাসা বোধ করেন। এমন সঙ্গী পেলে পুরুষরা আর্থিকভাবেও নিরাপদ বোধ করেন।
যেসব নারীদের অভিযোগ করার অভ্যাস কম থাকে, তাদের প্রতি পুরুষরা বেশি আকৃষ্ট হন। এছাড়াও সবসময় ঝগড়া করা, অল্পতে কান্না করা, বারবার ফোন করে বিরক্ত করা এমন স্বভাবের নারীদেরকে পুরুষরা পছন্দ করেন না।
সহজেই অন্যের সঙ্গে মিশতে পারা নারীর প্রতি পুরুষরা আকৃষ্ট হন। এ ধরনের নারীদের মধ্যে কোনো অহংকার থাকে না। তারা সবাইকে আপন করে নিতে জানেন।
যারা ভুল না ধরে বরং হাসিমুখে যে কোনো পরিস্থিতিতে পাশে থাকতে জানেন, এমন নারীর প্রতি মুগ্ধ হন পুরুষরা। অন্যদিকে যে নারীরা সবসময় ভুল ধরেন এবং দোষারোপ করেন তাদের প্রতি পুরুষরা আগ্রহ হারায়।
যে নারী স্বার্থপরের মতো শুধু নিজের ভালোটাই চিন্তা করেন, তাদের প্রতি পুরুষরা আগ্রহ হারায়। অন্যদিকে যে নারী সবার ভালো-মন্দ নিয়েই ভাবেন তাদের প্রতি পুরুষরা মুগ্ধ হন।
সমাজ-রাজনীতি এবং অর্থনীতির বিষয়েই যে নারীরা কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাদের প্রতিও পুরুষরা আকৃষ্ট হন। এমন নারীরা বেশ বুদ্ধিমতী এবং জ্ঞানী হয়ে থাকেন। বাস্তব জীবনমুখী হয়ে থাকেন তারা।