নিমপাতা চিনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। স্বাদে যেমন তেতো, গুণেও ঠিক তেমনই অসাধারণ। প্রতিদিনের ব্যবহারে এই নিমপাতা যদি রাখা হয়, তাহলে খুব সহজেই এর উপকারিতা সকলের চোখের নজর কাড়বে।
নিমপাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ। তাই সহজেই নানা ধরণের রোগ দূর করে থাকে এই পাতা এবং সুস্থও থাকবেন অনায়াসে।
অনেকেরই আগ্রহের একটা জায়গায় থাকে এই নিমপাতা। এরপরও একটা অংশের মানুষ আছে, যারা এই পাতাকে অবহেলা করেন।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, নিম এমন একটি গাছ যার ফল থেকে পাতা, কাণ্ড সবই ব্যবহার করা যায়। কারণ এগুলোর মধ্যে ঔষধি গুণ রয়েছে। তবে আমাদের কথাই ভাবুন, বাড়ির খুব কাছে এই গাছ থাকার পরও আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দেই না।
মনে রাখতে হবে, নিমের পাতা বহু অসুখে ধন্বন্তরি। অসংখ্য রোগ প্রতিরোধ করে। বহু ক্রনিক সমস্যা কাছে আসতে পারে না এই পাতার জন্য। তাই নিম নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাই চলুন দেখে নেই এই গুণী পাতার উপকারিতা।
১. ডায়াবেটিসে কার্যকরী
ডায়াবেটিস এখন মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। প্রচুর মানুষ এই রোগে নিয়মিত আক্রান্ত হন। মনে রাখবেন, এই অসুখটিকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিছু বিষয় মেনে চললে। এই যেমন নিমপাতা নিয়মিত খেলে কমতে পারে ব্লাড সুগার।
২. ক্ষত সারায়
নিমপাতার পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেই পেস্ট লাগান ক্ষত জায়গায়। দিনে কয়েকবার লাগাতে পারলে ক্ষত জায়গা দ্রুত সেড়ে যাবে। আর নিমে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। তাই সহজে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচায় এই পাতার পেস্ট।
৩. খুসকি দূর করে
শীতকাল এখনও বিরাজমান। রাতের দিকে ঠাণ্ডা লাগে অনেক সময়। এজন্য লেপ, কাঁথা এখনও বের করা রয়েছে। এদিকে আবার শীতের দিনে মাথায় খুসকি বাড়ে। সেক্ষেত্রে রোগ মুক্তির জন্য নিমপাতা গরম জলে ফোটান। তারপর সেই জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। আশা করছি খুশকি হবে দূর।
৪. চোখের সমস্যা কমায়
চোখে চুলকানি, জল কাটা, লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা লেগেই থাকে। এই রোগে দারুণ কার্যকরী নিমপাতা। প্রথমে গরম জলে এই পাতা আপনি ফুটিয়ে নিন। এরপর চোখে দিন আলতো করে। দিনে ২ থেকে ৩ বার করলেই সমস্যা দূর করে দিতে পারবেন।
৫. ইমিউনিটি হবে জোরদার
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি। তাহলেই সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। মনে রাখবেন, নিয়মিত নিমপাতা খেলে ইমিউনিটি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় এবং রোগ থাকে বহু দূরে। এখন থেকে তাই প্রতিদিন নিমপাতা খান। তবে বেশি তেলে ভেজে খাবেন না। এতে উপকার মিলবে না। বরং কাঁচা বা রস করে খান।