নিম্নচাপের প্রভাবে আজও বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। ফুসে উঠেছে সাগর, নদ-নদী। এর প্রভাবে পানি উঠেছে উপকূলীয় এলাকায়।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আজও সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ার ও বেড়িবাঁধ ভেঙে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
স্বাভাবিকের তুলনায় ৪-৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে কক্সবাজার উপকূলে। কুতুবদিয়ায় ভেঙেছে বেরিবাঁধ। ভারি বৃষ্টি আর জোয়ারে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল। মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ায় পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি চরমে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে বন্ধ সব ধরনের নৌযান চলাচল।
ভোলায় ঝড়ো বাতাসের সাথে চলছে বিরামহীন বৃষ্টি। বিপৎসীমার একশ ৩২ সেন্টিমিটার ছাড়িয়ে যায় মেঘনা নদীর পানি। বিভিন্ন এলাকায় বেড়ি বাঁধে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কলাতলীর চর, ঢালচর, কুকরি-মুকরিসহ নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ পানিবন্দি। ভেসে গেছে শতাধিক গবাদি পশু।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নৌ যোগাযোগ বন্ধ তিনদিন। কোম্পানিগঞ্জ ও নিঝুমদ্বীপে পানিবন্দি অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ।ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। ডুবে গেছে ফসলের মাঠ। বৃষ্টিতে জেলাশহরেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
লক্ষ্মীপুরে ১০টি ইউনিয়নে অন্তত ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ফেনীতেও লোকালয় থেকে নামতে শুরু করেছে জোয়ারের পানি। ভারতে ভারি বৃষ্টি হলে মুহুরি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রয়েছে বন্যার শঙ্কা।
বৈরী আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে নৌ যোগাযোগ। বরিশাল ও চাঁদপুরে আজও বন্ধ লঞ্চ চলাচল। উপকূলীয় এলাকার মতো ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা এবং সিলেট বিভাগেও বৃষ্টি হচ্ছে অঝোর ধারায়।
এছাড়াও ভারি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে ভূমি ধ্বসের সতর্কতা দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে স্থানে সরে যেতে করা হচ্ছে মাইকিং।
ডিবিসি/এএমটি