বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে দেশে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পথ সরল নয়, বরং সর্পিল ও কণ্টকাকীর্ণ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে তাই ইসির জন্য আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা আর জবাবদিহির এক বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের জন্য এক মাসব্যাপী পরিকল্পনা সাজাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মতে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট হলো আস্থার। ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এই সুরেই কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, "দুর্বল কাঠামোর ওপর ভর করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন হবে বড় চ্যালেঞ্জ।"
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিন অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বড় কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
তবে তার এই বক্তব্যের সাথে একমত নন ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এমন অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট আয়োজন নিয়ে তিনি সন্দিহান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচন কেবল ব্যালট বাক্সের লড়াই নয়, এটি নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, "এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় সংকট বিশ্বাসের।" তার মতে, এই নির্বাচন ইসির কাছে আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা আর জবাবদিহির এক বড় পরীক্ষা।
ডিবিসি/আরএসএল