জাতীয়

নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি

নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৯:৪০ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

রবিবার (১৪ই ডিসেম্বর) জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯১ (ক) এবং ৯১ (কক) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১ (ক) এর অধীনে ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ অনুসন্ধান করার পাশাপাশি অনুচ্ছেদ ৭৩, ৭৫, ৭৭ এবং ৯১খ (৩) এর আওতাধীন অপরাধসমূহের সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় ৩০০ কর্মকর্তার সমন্বয়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গঠন করলো।’

 

এতে বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি’র কর্মকর্তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন এবং এই প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে তারা নিজ দপ্তর হতে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম যা সংসদ নির্বাচনে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ এর লঙ্ঘনজনিত কারণে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ এর ৯১খ (৩) অনুচ্ছেদের আওতাধীন অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য, তা সংঘটিত হলে নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ (কক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে পারবেন বলে এতে জানানো হয়েছে।

 

সেই সঙ্গে, কমিটির কর্মকর্তারা ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ এর অনুচ্ছেদ ৭৩, ৭৫ ও ৭৭ এর আওতাধীন কোনো অপরাধ উক্ত আদেশের ৯১ (কক) অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করতে পারবেন।

 

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে যে, ‘বর্ণিত কমিটি কোনো অনুসন্ধান বা বিচারকার্য পরিচালনার জন্য উক্ত কমিটির চাহিত মতে প্রয়োজনীয় স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ এর ৮৯ক (২) মোতাবেক সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার বা পুলিশ সুপার বা স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ বা অন্য কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কমান্ডার বা ইনচার্জ-কে অনুরোধ করা হলো।’

 

ডিবিসি/কেএলডি

আরও পড়ুন