জুলাই অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের একবছর পূর্ণ হলেও পূরণ হয়নি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। নাগালে আসেনি জিনিসপত্রের দাম। অন্যদিকে অবনতি হয়েছে, আইন শৃংখলা পরিস্থিতির।
এমন অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে তা কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম ঘরানার কয়েকটি রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্যরা। কোনো কোনো দল মনে করে, অন্তবর্তী সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় এনসিপি।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরইমধ্যে অন্তবর্তী সরকার ঘোষণা দিয়েছে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনী মাসের।
রাজনীতির মাঠে থাকা দলগুলো মনে করে, গত একবছরে খুন জখমের ঘটনাও কম নয়। হাতে নির্বাচনের বড় জোর সাত মাস বাকি। অথচ একের পর এক সহিংসতা আইন শৃংখলা পরিস্থিতিকে নাজুক করছে। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং বাসদের সহকারী সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন মনে করেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নত করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার মতে, গণ অভ্যুত্থানের পর গড়ে উঠা এনসিপি অন্তবর্তী সরকারের প্রায়োরিটি তালিকায়।
জুলাই পরবর্তী সরকারের কাছে খেটে খাওয়া মানুষসহ সাধারণদের যে প্রত্যাশা তা পূরণ হয়নি। বাজারে এখনো সিন্ডিকেট। জিনিসপত্রের দামও আসেনি নাগালে।
বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির মহাসচিব মনে করেন, গণ অভ্যুত্থানের একবছরে অন্তবর্তী সরকার জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
রাজনীতির মাঠে থাকা ছোট মাঝারি দলগুলো মনে করে জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে উঠা অন্তবর্তী সরকারের উচিত সকল দলের মতকে সমান গুরুত্ব দেয়া।
ডিবিসি/ এইচএপি