সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের অভিযান উপেক্ষা করে শরীয়তপুরের পদ্মার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবাধে চলছে মাছ ধরা।
জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাট ও জাজিরা উপজেলার মেঘনা ও পদ্মাজুড়ে অসাধু জেলেরা অবৈধ কারেন্ট জাল বসিয়ে মাছ শিকার করছেন। শুধু তাই নয়, নদীর পাড়েই হাট বসিয়ে প্রকাশ্যে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশসহ এসব মাছ। নদীতে এভাবে মাছ নিধনের ফলে ইলিশের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ইলিশ রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ বিফলে যাচ্ছে।
অভিযানে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্প লোকবল নিয়ে প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকলেও তারা আইন অমান্যকারী জেলেদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছেন। অভিযানে আটক জেলেদের অনেকেই বলছেন, পেটের দায়ে তারা মাছ ধরতে বাধ্য হচ্ছেন।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে নৌ পুলিশ, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও প্রশাসনের সমন্বয়ে ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে জাজিরার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় জানান, যৌথ অভিযানে কিছু সমন্বয়হীনতা রয়েছে, যার কারণেই এমনটা হচ্ছে। উল্লেখ্য, অভিযানে এ পর্যন্ত ৪২ লাখ মিটারের বেশি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল এবং ১৫৪ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
ডিবিসি/এএমটি