নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সুখচর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি সক্রিয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারানো পাঁচজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে হাতিয়া থানায় পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪শে ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে হাতিয়া থানায় পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর বেশ কিছু সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত থানায় কোনো আনুষ্ঠানিক মামলা দায়ের করা হয়নি।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত পাঁচজনের মধ্যে একজনের শরীরে গুলির গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। বাকি চারজনের শরীরে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা থেকে এই সংঘর্ষের ভয়াবহতা ফুটে ওঠে। নিহতরা হলেন সুখচর ইউনিয়নের মহি উদ্দিনের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৪০), জাহাজমারা ইউনিয়নের মো. শামসুদ্দিন ওরফে কোপা শামসুর ছেলে মো. মোবারক হোসেন (২৩), সুবর্ণচর উপজেলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে আবুল কাশেম (৬২), হাতিয়া পৌরসভার মৃত শাহী আলমের ছেলে হক সাব (৬০) এবং চানন্দী ইউনিয়নের মৃত সেকুর ছেলে কামাল উদ্দিন (৪০)।
এছাড়া এই ঘটনায় নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের খবির উদ্দিনের ছেলে মো. সোহরাব (২৫) গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ময়নাতদন্তের বিস্তারিত জানিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিকেলের মধ্যেই পাঁচজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে একটি মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন ডাক্তার ওয়ালিউল্লাহ মাসুম এবং বাকি চারটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ডাক্তার রানা চৌধুরী। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে একজনের শরীরে গুলির চিহ্ন এবং অন্যদের দেহে দেশীয় অস্ত্রের আঘাত নিশ্চিত হওয়া গেছে
নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড প্রশাসন) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো হাতিয়া থানায় পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সাথে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে।
ডিবিসি/এএমটি