নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা পোস্টার লাগানো নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় শফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক করাতকল শ্রমিক নিহত ও কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২শে মে) রাত ৮টায় বাকলজোড়া ইউনিয়নের পুর্ব বাকলজোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিকুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত তারাব উদ্দীনের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা জানান, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান রাশেদ আগামী ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুর্গাপুর ও আশপাশের বেশকিছু এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার টাঙ্গানোর জন্য পাঠান। পরবর্তীতে দুর্গাপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ওই পোস্টার লাগাতে গেলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন মাস্টার বাঁধা দেন।
পরবর্তীতে হামিদুর রহমান রাশেদ এ বিষয়টি জামাল উদ্দিন মাস্টারের পিতা ইমাম হাসান আবুচান ও দুর্গাপুর থানার ওসিকে জানান। এতে জামাল মাস্টার আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রাত ৮টার দিকে ৩০ থেকে ৩৫টি মোটর সাইকেলে তার সমর্থকদের নিয়ে পুর্ববাকলজোড়া গ্রামে হামিদুর রহমান রাশেদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেন এবং ঘরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যান। ওই হামলায় রাশেদের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম সফু (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ছাড়া আলমগীর হোসেন (৩০), সৌরভ (২৪), শাকিল (৩২), লালচান মিয়া (৪৯), বাবুল মিয়া (৪২), মানিক মিয়া (৩০) সহ আরো অনেকেই ওই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত কালাচান মিয়া (৪৬) বলেন, ওই হামলার সময় জামাল উদ্দিন মাস্টার কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন এবং শফিকুল ইসলাম ওই গুলিতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর দুর্গাপুর থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
হত্যাকান্ড নিয়ে হামিদুর রহমান রাশেদ সাংবাদিকদের বলেন, 'হামলার বিষয়ে আমি মানুষিক কষ্টে আছি। এনিয়ে আগামীকাল জানাযার পর আপনাদের সাথে কথা বলবো।'
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ডিবিসি/এনএসএফ