বিয়ের আসরে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থেকে মারামারিতে গিয়ে ঠেকে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে চারজন আহত হন। এমন মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ এসে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শুক্রবার (১৬ই মে) বেলা তিনটার দিকে নোয়াখালীর মাইজদীতে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ফেনীর দাগনভূঁঞার এক ব্যক্তির সঙ্গে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার এক তরুণীর বিয়ের দিন ধার্য ছিল আজ। এ উপলক্ষে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনেপক্ষের অভিযোগ, বেলা তিনটার দিকে বর তার আত্মীয়স্বজন নিয়ে এসে কনেপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। এরপর বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
কনের মামা অভিযোগ করে বলেন, পূর্বের দেয়া কথা অনুযায়ী বিয়ের আগের দিন বরকে প্রায় এক লাখ টাকার উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়। বরের আত্মীয়স্বজন কনের বাড়িতে গিয়ে গায়েহলুদ অনুষ্ঠানও করেন। কিন্তু আজ দুপুর ১২টার দিকে বর তার বোনের মুঠোফোনে ফোন করে জানান, তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে, না হয় তিনি ওই বিয়ে করতে পারবেন না। একপর্যায়ে তারা বরকে অনুষ্ঠানে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অনুরোধ জানালে বর আসতে রাজি হন।
তিনি বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে বর তার আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মাইজদীর ওই রেস্তোরাঁয় আসেন। এরপর কথাবার্তার এক পর্যায়ে বর ও তার আত্মীয়স্বজন কনের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এতে কনেপক্ষের তিনজন আহত হন। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বরকে থানায় নিয়ে যায়।
আর বরের ভগ্নিপতি বলেন, বিয়ের আগে ৫০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ভিন্ন একটা বিষয় নিয়ে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে কনের আত্মীয়স্বজনেরা তাদের ওপর হামলা চালান। তারা এ সময় তিনটি মুঠোফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হচ্ছে। তবে যৌতুক দাবির অভিযোগ সত্য না। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ডিবিসি/কেএলডি