তোশাখানা-২ মামলায় বিশেষ আদালত কর্তৃক ১৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশের পর কর্মী-সমর্থকদের গণআন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার (২০শে ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা ইমরান খানের এই বার্তা গণমাধ্যমে তুলে ধরেন। এর আগে আদালত ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে পৃথকভাবে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
সালমান আকরাম রাজা জানান, ইমরান খান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি তার অবস্থান থেকে ‘এক ইঞ্চিও’ সরে আসবেন না। প্রয়োজনে শাহাদাতের বিনিময়ে হলেও জনগণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তিনি প্রস্তুত। ইমরান খান মনে করেন, বিচার বিভাগের সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, আদালতে সুষ্ঠু শুনানি হচ্ছে না এবং ন্যায়বিচার পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে ফলে এখন প্রতিবাদই একমাত্র পথ।
ইমরান খানের কারাবাস পরিস্থিতি সম্পর্কে পিটিআই মহাসচিব অভিযোগ করেন, দলীয় আইনজীবীদের তথ্যমতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠে (সলিটারি কনফাইনমেন্ট) রাখা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, সম্প্রতি জারি করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদেরও আদালতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং বিচারকরা দূরবর্তী স্থান থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে বিচারকার্যে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে তোশাখানা মামলার এই রায়কে চরম অবিচার বলে আখ্যা দিয়েছে পিটিআই এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে পিটিআই এই রায়কে ইতিহাসের একটি ‘অন্ধকার অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেছে। রায় ঘোষণার সময় আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত আদালতে ইমরান খান উপস্থিত ছিলেন বলে দলটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের
ডিবিসি/পিআরএএন