নড়াইলে দীর্ঘ ২৭ বছর পর আলোচিত নির্মল পোদ্দার ডাকাতি ও হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২রা সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এডিঃ পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নড়াইল সদরের ধুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সির ছেলে শাহিন মুন্সি, ভওয়াখালী গ্রামের মৃত লালমিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবুল, সলেমানের ছেলে সেলিম, ফেদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা এবং মাগুরা জেলার খানপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে তেজারত মোল্যা। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তেজারত মোল্যা আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত এ মামলায় অপর তিন আসামিকে খালাস প্রদান করেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন রাতে নড়াইল সদরের ভওয়াখালী গ্রামে পুলিশ সুপারের অফিসের পাশে নির্মল পোদ্দারের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা বাড়ির সকল সদস্যকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে ফেলে। এসময় গৃহকর্তা নির্মল পোদ্দারকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে এবং প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত নির্মল পোদ্দার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত নির্মল পোদ্দারের মেয়ে পলি পোদ্দার বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় প্রদান করেন। এই রায়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ২৭ বছর পর বাবার হত্যার বিচার পেলেন মেয়ে পলি পোদ্দার।
ডিবিসি/এনএসএফ