বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

পছন্দের ইমামকে না রাখায় জাতীয় পতাকার খুঁটিতে জুতা, ভিডিও ভাইরাল

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৭ই মার্চ ২০২৫ ০৮:৫৭:০৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে পছন্দের ইমামকে না রাখায় জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডে (খুঁটি) জুতা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে অব্যাহতি পাওয়া ইমাম মারুফ বিল্লার অনুসারীরা।

শুক্রবার (৭ই মার্চ) জুমার নামাজের পর কলেজের ডিগ্রি শাখার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে কথা বলেন কলেজ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন। এ সময় তারা বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরোধ কখনও কাম্য নয়। তারা নতুন ইমাম নিয়োগের দাবি করেন। নামাজের পর ৮-১০ জন যুবক কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থাকা জাতীয় পতাকার তিনটি স্ট্যান্ডের মাঝের স্ট্যাডের সামনে গিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল স্লোগান দিয়ে জুতা ঝুলিয়ে দেন।

 

কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদ আহামেদ ও আবুল কাসেম বলেন, এ কেমন কাজ! ইমাম গেলে ইমাম আসবে। দোষ করলে মানুষ করছে। জাতীয় পতাকার অবমাননা করলো কেন। কলেজ প্রশাসনের উচিত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

 

এদিকে অব্যাহতি পাওয়া ইমাম মারুফ বিল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আজ আমি এ মসজিদে ছিলাম না। কলেজ প্রশাসন আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমি কলেজ থেকে চলে এসেছি। এখন কি ঘটনা,  কারা করেছে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

 

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার বলেন, জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডে জুতা উত্তোলন রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। এই কাজ কখনোই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এর আগে ১৩ই জানুয়ারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে গত ২০শে জানুয়ারি তাবলিগের সাপ্তাহিক তালিম সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে একাধিকবার কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ওই ইমামের অনুসারীরা।

 

গত ২১শে জানুয়ারি অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ইমাম মারুফ বিল্লার অনুসারীরা। পরে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইমাম মো. মারুফ বিল্লাহকে নানা অভিযোগ তুলে অব্যাহতি দেয় কলেজ প্রশাসন। ইমামকে চাকরিচ্যুত করার পর থেকেই প্রতি শুক্রবার নামাজের পূর্বের ইমামকে বহালের দাবি করে আসছে স্থানীয় একটি পক্ষ।

 

সর্বশেষ গত শুক্রবার ২৮শে ফেব্রুয়ারি কলেজের নামাজ শুরুর আগেই স্থানীয়রা কলেজের অধ্যক্ষের ওপর হামলা শেষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে।

 

ডিবিসি/ এইচএপি 

আরও পড়ুন