পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ৮ বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নয়ন দাস (৫০) নামের এক রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার বোদা পৌরসভার ইসলামবাগ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ওইদিন রাতে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে বোদা থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। পরে বোদা থানা পুলিশ শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় আদালতে প্রেরণ করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে আসামি নয়ন দাস পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি বোদা পৌরসভার এলাকার ইসলামবাগ এলাকায়। তিনি ওই এলাকার রমেশ দাসের ছেলে।
ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ি বোদা পৌরসভা এলাকায়। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি প্রতিবেশি নয়ন দাসকে ওই স্কুল ছাত্রী নানু বলে ডাকত। সে সুবাদে নয়ন প্রায়ই স্কুল ছাত্রীকে তার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যেতো। গত বুধবার দুপুরে স্কুল ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তার বাড়িতে গান শোনানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে যান। পরে সেখানে নয়ন স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে করেন।
এসময় স্কুল ছাত্রী ওই শিশুটির চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে আশপাশের লোকজন ও শিশুটির বাবা মা ছুঁটে আসেন। পরে তারা নয়ন দাসের শোয়ার ঘর থেকে স্কুল ছাত্রী শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এসময় নয়ন দাস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. জাহিদ হাসান জানান, শিশুটির গালে কামড়ের চিহ্ন ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বদিউজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণ চেষ্টার শিকার শিশুটির প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে নেয়া হয়। যেহেতু শিশুটি নিজেই ধর্ষণ চেষ্টার কথা বলেছে সে কারণে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি।’
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজয় কুমার রায় ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। তবে আসামিকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।