ধর্ষণের ঘটনার পর জুলাই আন্দোলনে শহিদ জসীম উদ্দিনের কন্যা লামিয়া (১৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লামিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
জীবনযন্ত্রণা সইতে না পেরে নানা চাপে শেষ পর্যন্ত নিজেকে হননের পথ বেছে নিলেন পটুয়াখালীর দুমকিতে ধর্ষণের শিকার জুলাই শহিদের সন্তান লামিয়া।
শনিবার রাত ৯টায় রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের বাসায় গলায় ফাঁস দেন তিনি। হাসপাতালে নেয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। সেখানেই ছুটে আসেন বিএনপি, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। দাবি করেন জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার।
এ বিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া জানান, এ ঘটনায় আমরা হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৮ই মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদ জসীম উদ্দিনের মেয়ে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে অভিযুক্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে যায় সাকিব ও সিফাত।
একপর্যায়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এমনকি তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে দুমকি থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী।
ডিবিসি/ অমিত