পটুয়াখালীর লোহালিয়া ও লাউকাঠি নদীর পাড় দখল করে তৈরি করা টিনশেড ও আধাপাকা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে প্রশাসন। তবে প্রভাবশালীদের বহুতল ভবন উচ্ছেদ করা যায়নি। আর উচ্ছেদ করা স্থাপনাগুলোতে বসবাস করা শ্রমজীবী মানুষ খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।
পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীতীরের জৈনকাঠি থেকে শুরু হয়ে লাউকাঠি নদীর ব্রিজ পর্যন্ত সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনার শতাধিক বহুতল ভবন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে- অবৈধ আধাপাকা ও টিনশেড স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রভাবশালীদের অবৈধভাবে তৈরি কোনও বহুতল ভবন উচ্ছেদ করা হয়নি।
দুর্ভোগে পড়া এক নারী বলেন, বড় বড় মেয়রদের বড় বড় বিল্ডিং আছে যা ভাঙেনি, তারা তো শান্তিতে থাকবে। আমরা গরীব আমাদেরটাই চোখে পড়লো। আমাদের আরও গরীব করে দিয়ে গেলো।
আধাপাকা ও টিনশেড স্থাপনাগুলোতে বসবাস করা শত শত শ্রমজীবী মানুষ এখন বিপাকে পড়েছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন তারা।
কান্নারত এক বৃদ্ধা বলেন, স্বামী ও ছেলেমেয়ে ভ্যান চালিয়ে খায়। ভেঙেচুরে দিয়েছে, এখন কই থাকবো, কই খাবো?
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন প্রায়ই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায়- কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই আবার সেগুলো গড়ে ওঠে।
এক কিশোরী জানান, সরকারের কাছে আমাদের একটাই আবেদন আমাদের মাথাগোঁজার ঠাই দিক। আমাদের একটা স্থান দিক।
সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মো. শাহীন মাহমুদ নদীতীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন। তবে অবৈধ কোনো স্থাপনার বিষয়ে উচ্চ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলে তাদের কিছু করার নেই বলে জানান।