ঢাকা-যশোর সেকশনের বহুল প্রতীক্ষিত ট্রেন সার্ভিসটি নভেম্বরের মাঝামাঝি পদ্মা সেতু হয়ে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পদ্মা রেল লিঙ্ক প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজ (২৯ অক্টোবর) বাসসকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নভেম্বরের মাঝামাঝি (১৫-২০ নভেম্বর) থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর সেকশনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদী। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটির ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে যশোর হয়ে কমলাপুর স্টেশনের উদ্দেশে বেনাপোল ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এবং একই দিনে একটি ট্রেন (সুন্দরবন এক্সপ্রেস) কমলাপুর স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাব।’
প্রকল্প পরিচালক বলেন, নবনির্মিত ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন রেল ট্র্যাকটি রূপদিয়া ও সিংগিয়া স্টেশন হয়ে বিদ্যমান খুলনাগামী রেল ট্র্যাককে সংযুক্ত করেছে। তিনি জানান, সরকার ৩৭ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কমলাপুর থেকে রূপদিয়া ও সিংগিয়া স্টেশন পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে। প্রকল্প অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের (জিআইবিআর) সরকারি পরিদর্শক ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত দুই দিনের লাইন পরিদর্শনশেষে প্রকল্পের কাজটি সফলভাবে সুসম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রড-গেজ সিঙ্গেল-লাইন নির্মাণ করেছে, যা ব্যয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। প্রকল্প ব্যয়ের অর্ধেকেরও বেশি চীন ঋণ হিসাবে প্রদান করেছে।
গত বছরের অক্টোবরে এই লাইনের ঢাকা-ভাঙ্গা সেকশন চালু হয় এবং এই সেকশনে পাঁচটি ট্রেন চলাচল করছে। ঢাকা-যশোর রেললাইনটি চালু হলে ঢাকা ও যশোরের মধ্যে দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার এবং ভ্রমণের সময় অর্ধেক কমে যাবে। বর্তমানে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগে আট ঘণ্টার বেশি। লাইনটি দেশের বৃহত্তম দুটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মংলাকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
ডিবিসি/এএনটি