পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ। এ উপলক্ষ্যে আরাফাতের ময়দানে হাজির হয়েছেন ১৫ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলিম। বৃহস্পতিবার (৫ই জুন) দুপুরে তাদের উদ্দেশ্যে হজের খুতবাপাঠ করেন মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম ও খতিব শেখ সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ। দোয়া করা হয় ফিলিস্তিনির গাজাবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর জন্য। এ খুতবার অনুবাদ প্রচার হয় বাংলাসহ প্রায় ৩৫টি ভাষায়।
৯ই জিলহজ, পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফাতের ময়দানে সেলাইবিহীন শুভ্র কাপড়ে সমবেত হয়েছেন হজযাত্রীরা। তাদের কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে তালবিয়া লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। যার অর্থ আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি আপনার ডাকে সাড়া দিতে হাজির।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে আরাফার প্রান্তরে হাজির হয়েছেন ১৫ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাদের উদ্দেশ্যে খুতবা পাঠ করেন মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম ও খতিব শেখ সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ই জুন) দুপুর ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় ৩টায় পবিত্র শহর মক্কা থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে আরাফাতের ময়দানের নামিরাহ মসজিদ থেকে পবিত্র হজের খুতবা পাঠ করা হয়। বাংলাসহ প্রায় ৩৫টি ভাষায় এটি অনুবাদ করে শোনানো হয়।
খুতবায় তাগিদ আসে মুসলমানদের তাকওয়ার জীবন অবলম্বনের। বলা হয় এতে নিহিত আছে মানুষের সফলতা আর মুক্তি। তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য রয়েছে ইহকাল ও আখিরাতের জন্য মঙ্গল।
হজের খুতবায় বিশেষভাবে দোয়া করা হয় ফিলিস্তিনির গাজাবাসীর জন্য। তাগিদ জানানো হয় ক্ষুর্ধাত ফিলিস্তিনিদের মাঝে আহার পৌঁছানোর। এছাড়া পূর্ব পশ্চিমের সকল মুসলিমদের ঐক্য বজায় রাখার জন্যও দোয়া করা হয়।
এদিন সকাল থেকেই হাজিরা মগ্ন ছিলেন আল্লাহর জিকির, দোয়া ও মোনাজাতে। জীবনে একবার হলেও হজ পালন করার আশা নিয়ে আগত এসকল মুসল্লিদের দোয়ায় ছিলো মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা।
খুতবার পর মসজিদে নামিরায় এক আজান এবং দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে পড়েন হাজিরা। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর হজযাত্রীরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই রওনা হন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে, রাত কাটাবেন খোলা আকাশের নিচে।
শুক্রবার (৬ই জুন) পশু কোরবানির পর ইহরাম ছাড়বেন হাজিরা। পরে জামারায় পাথর নিক্ষেপসহ রয়েছে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা।
ডিবিসি/এনএসএফ