জেলার সংবাদ

পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২৬শে মে ২০২০ ১১:৫৪:৩১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

পরকিয়া প্রেমের জের ধরে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।

পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের যুবক সরোয়ার হোসেন সবুজের সাথে মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে নারী ভাইস চেয়ারম্যানের চৌগাছা বাসভবনে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর সরোয়ার হোসেন সবুজ এক কন্যা সন্তানের জনক।

সাম্প্রতিক সময়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনের স্বামী শাহাবুদ্দিন মৃত্যুবরণ করলে তিনি একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। 
মঙ্গলবার সকালের দিকে ওই সরোয়ার হোসেন সবুজ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক ও ফারহানা ইয়াসমিনকে ওই বাড়িতে আটকে রাখে। যুবকের সঙ্গে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে তার বাড়িতে আটকে রাখা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্মানহানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। তাদেরকে ঘরে তালাবন্দি করা লোকজন মারধর করেছে বলেও বিচারের দাবি করেন তিনি।

এদিকে, খবর পেয়ে ফারহানা ইয়াসমিনের বাড়িতে যান মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রবিউল ইসলাম।

এ সময় তারা ওই যুবক এবং ফারহানা ইয়াসমিনের সাথে আলাদা আলাদা কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত ও প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করেন।

এদিকে বিষয়টি দ্রুতগতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার জন্ম দেয়। বিষয়টি হয়ে পড়ে টক অব দ্যা এরিয়া। শেষ পর্যন্ত দুপুরে ফারহানা ইয়াসমিন ও সরোয়ার হোসেন সবুজের ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়িয়ে দেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

তাদের বিয়ে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাজিকভাবে সমাধান করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান এম এ খালেক। গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানান, উভয়ের সম্মতিতে সামাজিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন