পরকীয়া নিয়ে দ্বিধার অন্ত নেই। কিন্তু তাই বলে থেমেও নেই পরকীয়ার ঘটনা। কিন্তু পরকীয়া কারা করেন? কেনই বা করেন?
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসহীনতার বৈজ্ঞানিক পরিমাপ করা কঠিন কাজ। কারণ, প্রায় সব দেশেই পরকীয়া সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য আচরণ নয়। কোনও কোনও দেশে একে রীতিমতো অপরাধ বলেই মনে করা হয়।
কাদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতা বেশি সে বিষয়ে সম্প্রতি গবেষণা চালায় স্পেনের করুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিশেষজ্ঞ। গবেষক মিগুয়েল ক্লিমেন্টের নেতৃত্বে করা এই গবেষণা বলছে, ‘নার্সিসিজম’ বা আত্মমুগ্ধতা রয়েছে এমন মানুষের মধ্যে বারবার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি।
মনোবিজ্ঞানে, নার্সিসিজমকে সাধারণত আত্মরতি, নিজেকে মহান ভাবা, অহংকার এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতির অভাব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মিগুয়েলের কথায়, ‘‘অন্ধকার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যযুক্ত লোকেরা সহজে স্বল্পমেয়াদী সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। এর মূল কারণ, সম্ভাব্য সঙ্গীর থেকে এই ধরনের প্রত্যাশা খুবই কম থাকে। এই প্রবণতা বেশি দেখা যায় পুরুষদের ক্ষেত্রে।’’
৩০৮ জন মানুষের উপর করা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ১৮ থেকে ২৫। মোট অংশগ্রহণকারীর ৭৮.৩ শতাংশ ছিলেন মহিলা। পুরুষ ছিলেন শতকরা ২১.২ ভাগ।
অর্থাৎ নারীরা তাদের সৌন্দর্যে নিজেরাই মুগ্ধ। এই কারণেই এর হার তুলনামুলকভাবে বেশী।
কিন্তু অপরদিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে চালানো গবেষণায় ফলাফল একেবারেই বিপরীত স্বামীরা স্ত্রীদের চেয়ে বেশি পরকীয়া করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৬ সালে সোশাল সার্ভেতে জানা যাচ্ছে, বিবাহিতদের মধ্যে স্ত্রীকে লুকিয়ে অন্য মহিলার সাথে মিলিত হয়েছেন এমন পুরুষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে দ্বিগুণ।
ব্রিটেনে ২০০০ সালের এক গবেষণা বলছে, একই সাথে একাধিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন ১৫% পুরুষের। অন্যদিকে, নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল ৯%।
সূত্র: আনন্দবাজার ও বিবিসি