অপরাধ, রাজধানী

পরিবারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রিপল মার্ডার, মেহজাবিনের স্বীকারোক্তি

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ২১শে জুন ২০২১ ১২:৪২:০৮ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বাবার আলাদা সংসার, মা বাধ্য করতো অনৈতিক কাজে এসব কারণে পরিবারের ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটান মেহজাবিন।

অনৈতিক কাজে বাধ্য করতো মা। বাবা আলাদা সংসার গড়েছেন বিদেশে। এছাড়া নিজের ছোটবোনের সাথে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক। এসব ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আপনজনদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মেহেজাবিন। শনিবার রাজধানীর কদমতলীতে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় গ্রেপ্তার মেহেজাবিনের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য।

কদমতলীর মুরাদপুর হাইস্কুলের পাশে একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন প্রবাসী মাসুদ রানার পরিবার। যেখানে তার স্ত্রী মৌসুমীর সাথে থাকতেন ছোট মেয়ে জান্নাতুল। একই এলাকায় স্বামী নিয়ে থাকেন মেহজাবিন।

অভিযোগ আছে, দুই মেয়েকে দিয়ে অসামাজিক কাজ করাতেন মা। বড়মেয়ের বিয়ের পর, ছোটমেয়ে জান্নাতের সাথে সম্পর্ক হয় বোনের স্বামীর। অন্যদিকে, পরিবারের অভিভাবক বাবা মাসুদ বিদেশে গড়েছেন আরেকটি সংসার। এসব নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে পরিবারের সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেহজাবিন।

প্রবাসী বাবা দেশে আসার পর শুক্রবার রাতে নিজের স্বামী এবং ৫ বছরের মেয়েসহ পরিবারের সব সদস্যকে ৪০টি ঘুমের ওষুধ গুড়ো করে চা-কফির সাথে খাওয়ায় মেহজাবিন। পরে মা, বাবা এবং বোন জান্নাতের হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে মেহজাবিন।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শাহ ইফতেখার জানান, অভিযুক্ত মেহজাবিন নিজের বিবেকের কাছে ক্ষমা করতে না পারায় এই হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেয়।

ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয় মেহজাবিনকে। রবিবার সকালে কদমতলী থানায় অভিযুক্ত মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহত মাসুদের ভাই সাখাওয়াত। পরে মেহজাবিনকে সিএমএম কোর্টে নেয়া হলে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

আরও পড়ুন