বকেয়ায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের গ্যাস বন্ধ থাকায় পল্লী বিদ্যুতে চলছে সাভারের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল-ডিইপিজেডের উৎপাদন। এ কারণে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই অঞ্চলের অন্যান্য গ্রাহক। ডিইপিজেডের জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও গ্রাহকের জন্য বরাদ্দ বাড়ছে না। ফলে এবার গ্রীষ্মে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ঘাটতি কমার আশা নেই।
সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন এলাকায় আবাসিক-বাণিজ্যিক মিলিয়ে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৪৮০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে গড়ে ৭০ থেকে ১১০ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিংয়ে ভুগতে হয় এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
সম্প্রতি বকেয়া জটিলতায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় শিল্প উৎপাদন। পরে ডিইপিজেডে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব নেয় পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ডিইপিজেডে এই বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ঘাটতি বেড়েছে আশেপাশের এলাকায়। গত কয়েকদিনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়েছে লোডশেডিং। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে ডিইপিজেডকে প্রায় ৩৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পল্লীবিদ্যুৎ। যা কেন্দ্রীয়ভাবে পাওয়ায় এর প্রভাব পড়বে না স্থানীয় গ্রাহদের ওপর। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর দাবি এলাকাবাসীর।
ডিবিসি/ রাসেল