পাবনার সুজানগরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রায় ১০০ জন গ্রাহকের অন্তত ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যাংকে কর্মরত বিশ্বজিৎ নামের এক মাঠ কর্মীর বিরুদ্ধে।
পাবনার সুজানগরের একাধিক গ্রাহক এ প্রতিবেদকের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন। গ্রাহকরা অভিযোগ করে জানান, গত দুদিন আগে ওই ব্যাংকের মাঠ কর্মী বিশ্বজিৎ গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় টাকা ফেরত চেয়ে ব্যাংকটির সামনে অবস্থান করেছেন শত শত গ্রাহক। তবে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ওই ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পাবনার সুজানগর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ কর্মী বিশ্বজিৎ কুমার পাল এক গ্রাহকের কাছ থেকে ২% সুদে ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে টাকা জমা নিয়েছেন। এরকম শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে টাকা জমা নিয়েছেন তিনি৷
গ্রাহকরা আরও জানান, প্রথমে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে টাকা জমা নিয়ে তাদের মনে আস্থা অর্জন করেন বিশ্বজিৎ। পরে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ২% সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রতি একজন গ্রাহকের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা করে সঞ্চয় জমা নেন।
গ্রাহকের কারো কাছ থেকে ২ লাখ, কারো থেকে ৫ লাখ আবার কারো থেকে ২৬ লাখ টাকা জমা নিয়ে মোট অন্তত ১০ কোটি টাকা জমা নেন বিশ্বজিৎ। এর পরেই বাধলো বিপত্তি৷ মোট টাকা আত্মসাৎ করে গত ৪ দিন ধরে লাপাত্তা তিনি৷
এক পর্যায়ে বিশ্বজিৎ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিষয়টি বুঝতে পারে গ্রাহকেরা৷ তখন অফিসে গিয়ে খোঁজ নেন তারা৷ এ সময়ে লাপাত্তা হয়েছেন অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ। পরে ব্যাংক ঘেড়াও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত চেয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের কক্ষে বাকবিতণ্ডতায় জড়িয়ে পরেন তারা।
আর তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তা। ভুক্তভোগীদের দাবি বিশ্বজিতের এই কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন ব্যাংকের ম্যানেজারও। যেকোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারেন বিশ্বজিৎ।
ডিবিসি/রাসেল