ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দিতে কথা না বলে বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে এক যুবকের চাকরি কেড়ে নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির। এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন সেই যুবক।
জানা গেছে এইচআর ম্যানেজার হিসেবে গত মার্চে শিলিগুড়িতে 'টি লিঙ্কার্স ও বনসল টি' নামের এক কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের শিলিগুড়ি জেলার যুবক অভিষেক সেনগুপ্ত। শিলিগুড়িতেই তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন রেলকর্মী। অভিষেকের দাবি, ওই সংস্থার সংখ্যালঘু নিয়োগেও আপত্তি ছিল। তিনি জানান, এক সংখ্যালঘু নিরাপত্তা কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়েছে।
অভিষেক বলেন, 'আমি ওই কর্মীকে ফেয়ারওয়েল দেওয়া পরই বিষনজরে পড়ে যাই। গত এক মাসে আমাকে চরম মানসিক নির্যাতন করা হয়। তারপর মুখে বলা হল, অফিসে হিন্দিতে কথা বলতে হবে, বাংলায় কথা বলা যাবে না। একই সঙ্গে বলা হয় বাংলাদেশ থেকে এসে নাম ভাঙিয়ে আমি হিন্দু সেজে আছি। এবিষয়ে আমি মেয়র গৌতম দেবকে জানিয়েছি, পুলিশকেও জানিয়েছি। তারা অন্য রাজ্য থেকে আমার রাজ্যে এসে কেন বাংলা বলা ছাড়তে বলবে?'
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, 'টক টু মেয়রে উনি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি গুরুতর। শিলিগুড়ি থানার পুলিশকে আমি বলেছি তার বাড়িতে যেতে। খুব নম্রভাবে যেন ব্যবহার করা হয়। তার উদ্বেগ দূর করা যেন যায় তার ব্যবস্থা নিতে হবে। ১১ই সেপ্টেম্বরের পর আমি প্রয়োজনে তার বাড়ি যাব। শিলিগুড়িতে এই ঘটনা ঘটবে না। আর যদি ঘটে যথাযথভাবে যেন তদন্ত হয় তা আমি দেখব।'
এই ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগে কলকাতায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে বাংলা বলার জন্য হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর আবারও পশ্চিমবঙ্গে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠল।
ডিবিসি/এনএসএফ