শক্তিশালী পাকিস্তানের করা ১১৬ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। এবার ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত। অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ভারত হারিয়েছে ৭ উইকেটে। গত আসরের ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর গ্রুপ পর্বে নেপালের বিপক্ষেও অপরাজিত ফিফটি করেন আজিজুল। দুবাইয়ে এই ম্যাচেও ৩৯ বলে ৫০ ছোঁয়া আজিজুল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৬১ রান করে। মোহাম্মদ শিহাব করেছেন ২৬ রান।
অবশ্য আজ শুক্রবার (৬ই ডিসেম্বর) আসল কাজটা বোলাররাই করেছেন। তাতেই তো পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে দেওয়া গেছে। এর শুরুটা হয়েছিল বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার হাত ধরে। তিনি পাকিস্তানের দুই ওপেনার উসমান খান ও শাহজাইব খানকে ফিরিয়েছেন শূন্য রানে। শাহজাইব এবারের টুর্নামেন্টেই ভারতের বিপক্ষে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
এরপর অধিনায়ক সাদ বেগ ও ৩ নম্বরে খেলা মোহাম্মদ রিয়াজউল্লাহকে আউট করেন পেসার ইকবাল হোসেন। ৭ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। ৬ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মারুফ। অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ভারতকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। যে লক্ষ্য ভারত যুব দল ছুঁয়েছে ২১.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে। ফাইনাল হবে দুবাইয়ে, ৮ ডিসেম্বর। পাকিস্তানের সঙ্গে একবার যৌথ চ্যাম্পিয়ন হওয়াসহ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ আটবার শিরোপা জিতেছে ভারত। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান জিতেছে একবার করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ দল: ৩৭ ওভারে ১১৬/১০ (রিয়াজউল্লাহ ২৮, ফারহান ৩২; মারুফ ২/২৩, ইকবাল ৪/২৪)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল: ২২.১ ওভারে ১২০/৩ (আজিজুল ৬১*, শিহাব ২৬; আলী রাজা ১/৪০, সুবহান ১/২৭)
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ইকবাল হোসেন ইমন।
ডিবিসি/কেএলডি