দেশভাগের সময় পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সিন্ধু প্রদেশ ভবিষ্যতে আবারও ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সিন্ধুর সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রবিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজনাথ সিং বলেন, বর্তমানে সিন্ধু ভূখণ্ড ভারতের অংশ না হলেও সভ্যতার নিরিখে তা সর্বদাই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি মন্তব্য করেন, "জমির কথা যদি বলা হয়, তবে সীমানা তো পরিবর্তন হতেই পারে। কে জানে, কাল হয়তো সিন্ধু আবার ভারতে ফিরে আসবে।" এই প্রসঙ্গে তিনি বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দেন। তিনি উল্লেখ করেন, দেশভাগের পর সিন্ধু থেকে আসা হিন্দুরা, বিশেষ করে আদভানির প্রজন্মের মানুষরা, সিন্ধুর এই বিচ্ছেদকে কখনোই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি।
সিন্ধু নদের পবিত্রতার ওপর জোর দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এই নদীর গুরুত্ব ভৌগোলিক সীমানার অনেক ঊর্ধ্বে। ভারতের হিন্দুদের কাছে তো বটেই, সিন্ধুর অনেক মুসলিমের কাছেও এই নদের জল মক্কার পবিত্র 'জমজম' কূপের জলের মতোই শ্রদ্ধেয়। তিনি আবেগের সুরে জানান, যারা সিন্ধু নদকে পবিত্র মনে করেন, তারা বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন, তারা ভারতের আপনজন।
এদিন রাজনাথ সিং সিন্ধি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৯ সালে দিল্লির এক বস্তিতে সিন্ধি শরণার্থীদের চরম দুর্দশা দেখে তিনি ব্যথিত হয়েছিলেন এবং তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময় রাজ্যসভায় এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি পাস করানো সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তীতে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মরক্কোতে এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়েও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কোনো যুদ্ধ বা আগ্রাসন ছাড়াই পিওকে ভারতের অংশ হয়ে যাবে, কারণ সেখানকার মানুষ এখনই ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।
ডিবিসি/এমএআর