পাকিস্তানের হায়দ্রাবাদে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ই নভেম্বর) এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর কারখানায় আগুন লেগে যায় বলে জানান কারখানার কর্মকর্তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হায়দ্রাবাদের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) জয়ন-উল-আবিদীন মেমন জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজন ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।"
রেসকিউ টিমের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, লতিফাবাদ পুলিশ স্টেশন বি সেকশনের সীমানায় লাঘারি গোথ নদীর তীরে একটি আতশবাজি কারখানায় শক্তিশালী বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।
লতিফাবাদের সহকারী কমিশনার সৌদ লুন্ড বলেন, একটি লাইসেন্সবিহীন বাড়িতে অবৈধভাবে এই আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, "সীমানা প্রাচীরের সাথে ধসে পড়া একটি ঘর থেকে ধ্বংসস্তূপ পাওয়া গেছে। সেখানে কিছু মানুষ এবং শিশু কাজ করছিল বলে খবর রয়েছে, আমরা তাদের বের করে এনেছি।"
হায়দ্রাবাদের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) আদিল চান্ডিও জানিয়েছেন, কারখানার লাইসেন্সের বিস্তারিত যাচাই করা হচ্ছে। উৎপাদনস্থলের মালিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না এবং পুলিশ কারখানার মালিকানা সম্পর্কে তদন্ত করছে। এসএসপি আরও জানান, উদ্ধারকর্মীরা আরও কোনো মৃতদেহ আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে স্থানটি পরিষ্কার করছেন।
ডিসি জাইন-উল-আবিদীন মেমন বলেন, বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের আঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে কাঠামোর ইটগুলি ঘটনাস্থল থেকে কয়েক মিটার দূরে ছিটকে পড়েছিল।
সিন্ধুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল হাসান লাঞ্জার এই ঘটনার কঠোর নজরে নিয়েছেন এবং একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তলব করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "কারখানার আইনি অবস্থা অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত। জীবন নিয়ে খেলা করা যাবে না এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির দৃষ্টিতে এই ধরনের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য।"
সূত্র: ডন
ডিবিসি/ এসএফএল