পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন।
শনিবার (১৬ই আগস্ট) দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, যেখানে ২০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এছাড়াও আজাদ কাশ্মীরে ১৯ জন এবং গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সম্পদেরও ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় অন্তত ১১৬টি বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৪৮টি, গিলগিট বালতিস্তানে ১৭টি এবং আজাদ কাশ্মীরে ৫১টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বন্যা কবলিত অনেক এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মোবাইল ফোনের টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কিছু বাড়িঘর বন্যায় ভেসে গেছে এবং সড়ক যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বন্যাদুর্গত এলাকায়, বিশেষ করে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরসহ অন্যান্য অঞ্চলে, দ্রুত ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
উদ্ধারকারী দলগুলো আকাশপথে, পায়ে হেঁটে এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ব্যবহার করে দুর্গম এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি হেলিকপ্টার খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে, এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি এখনও বেশ নাজুক, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ডিবিসি/এনএসএফ