পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার (৩১শে মে) সকালে পাঁচ মাস বয়সী সোহাগীকে ঘরের বারান্দায় বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে রেখে গরুর খাবারের জন্য খড় আনতে বাইরে যান মা শ্রাবন্তী। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে তিনি দেখেন তার শিশু সন্তান সোহাগী বিছানায় নেই। এক পর্যায়ে বাড়ির অদূরে বড়াল নদের পাড়ে সোহাগীর নিষ্প্রাণ দেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরিবারের লোকজন তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়। থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারে চলছে আহাজারী।

শিশু সোহাগীর বাবা কমল মন্ডলের বলেন, মেয়ের এই মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়। কেউ তাদের ঘর থেকেই শিশুকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে গেছে। তাকে দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ডিবিসি/এএমটি