রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৩) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১শে এপ্রিল) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহ।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তারা সবাই বনানী বিদ্যানিকেতনের সাবেক শিক্ষার্থী।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন। এ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে আসামিদের তরফে আইনজীবী মাহবুবুর রহমান রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। রবিবার (২০শে এপ্রিল) গভীররাতে ওই তিনজনকে মহাখালীর ওয়ারলেস গেইটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।
এর আগে, শনিবার বিকেলে পাশের ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির জেরে প্রাইম এশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে পারভেজের বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে দুইপক্ষের মধ্যে মীমাংসা করা হয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হলে পারভেজকে ৩০ থেকে ৪০ জন ঘিরে ধরে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে রবিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ নেওয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে প্রথম জানাজা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে গ্রামে তার লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার উল্লিখিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০), মো. মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডিবিসি/কেএলডি