বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় ১০০ স্কুলে স্টারলিংক সেবা দেবে সরকার

বাসস

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৮ই আগস্ট ২০২৫ ০৫:৩৪:৪২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) অঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই অঞ্চলের ১০০টি বিদ্যালয়ে উচ্চগতির স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা এই অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এই উদ্যোগের কথা জানিয়ে বলেন, "এর মাধ্যমে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাসে অংশ নিতে পারবে, যা শিক্ষার মানে সমতা আনবে।" তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপ পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ করে তুলবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।

 

পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "আমার মূল চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। আমাদের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। সব সময় কোটা পাওয়া যাবে না। প্রতিযোগিতা করতে হলে ভালো স্কুল-কলেজ গড়ে তুলতে হবে।" এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্যাটেলাইট শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হোস্টেল নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। একইসাথে, সরকার পার্বত্য অঞ্চলে একটি প্রকৌশল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ, অনাথালয় এবং অতিরিক্ত ছাত্রাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

 

শিক্ষার পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের উপরও জোর দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিন বছর মেয়াদি বাঁশ চাষ পরিকল্পনা এবং পশুপালন ও মৎস্য প্রকল্পের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, "পার্বত্য জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হবে বাঁশ চাষ। বাঁশের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়িয়ে আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে চাই।" তিনি পরিবেশ রক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কাজু বাদাম, কফি ও ভুট্টার চাষ সম্প্রসারণেও সরকার উদ্যোগী হয়েছে।

 

সবশেষে, উপদেষ্টা পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উন্নত ক্রীড়া পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়ে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এবং সকলের সহযোগিতায় আমরা একটি সমৃদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।"

 

ডিবিসি/এইচএপি
 

আরও পড়ুন