গুপ্তচরবৃত্তির জন্য পিঠে ক্যামেরা-বসানো সাইবর্গ তেলাপোকা থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত সামরিক ড্রোন – যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এমনই সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে জার্মানি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন দেশটিকে প্রচলিত অস্ত্রের পাশাপাশি ভবিষ্যতের যুদ্ধ কৌশলের দিকে মনোনিবেশ করতে বাধ্য করেছে।
সম্প্রতি সোয়ার্ম বায়োট্যাকটিকস (Swarm Biotactics) নামে একটি সংস্থার প্রকাশিত ডিজিটাল চিত্রে দেখা গেছে, সাইবর্গ তেলাপোকার পিঠে একটি বিশেষ ব্যাকপ্যাক বসানো হয়েছে। এই ব্যাকপ্যাকে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে রিয়েল-টাইম বা তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এই প্রযুক্তিকে যুদ্ধের ময়দানে তথ্য সংগ্রহের এক নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর জার্মানির প্রতিরক্ষা স্টার্ট-আপ 'হেলসিং'-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা গুন্ডবার্ট শের্ফ। রয়টার্সকে তিনি জানান, চার বছর আগে যখন তিনি সামরিক ড্রোন ও যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য এআই তৈরির কাজ শুরু করেন, তখন বিনিয়োগ পাওয়া খুবই কঠিন ছিল।
কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। শের্ফ বলেন, এখন বিনিয়োগ পাওয়া তার জন্য কোনো সমস্যাই নয়। গত মাসেই মিউনিখ-ভিত্তিক এই কোম্পানিটির বাজারমূল্য দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা ইউরোপের সবচেয়ে মূল্যবান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থা হিসেবে এটিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তথ্যসূত্র রয়টার্স।
ডিবিসি/এমইউএ