বর্ষায় পিরোজপুর ও ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারা হাট। দেড় থেকে দুই মাস পেয়ারা চাষীদের জীবনে নিয়ে আসে নব আনন্দ। গাছ থেকে পেয়ারা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পাইকারের হাতে তুলে দেয়া পর্যন্ত চাষিদের থাকে যত্ন আর ব্যস্ততা।
এ বছর ফুল আসার সময় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায়, পেয়ারার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে দাম ভালো থাকায় লাভের আশা করছেন চাষিরা।
গাছের তলায় পানি। মাঝখানে সরু নালা। সেই নালায় ভাসছে ছোট ছোট নৌকা। তাতেই সংগ্রহ করা হচ্ছে সবুজ-হলুদাভ পেয়ারা। বর্ষায় এমন কাজে ব্যস্ত পিরোজপুরের পেয়ারা চাষিরা।
বাগান থেকে পেয়ারা বোঝাই নৌকা নিয়ে জড়ো হচ্ছেন ভাসমান পাইকারী হাঁটে। নদীর ওপর ভাসমান হাট। সেই হাট থেকে পাইকারি ক্রেতাদের হাত ধরে পেয়ারা চলে যাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত।
প্রতি বছর জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেড় দুই মাস পেয়ারা সংগ্রহ করা হয়। এবছর ফুল আসার সময় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায়, পেয়ারার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে পেয়ারার দাম ভালো থাকায় খুশি চাষীরা।
এ বছর নেছারাবাদ উপজেলায় ৬০০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা উৎপন্ন হয়েছে। বর্তমানে পাইকারী বাজারে প্রতিমন পেয়ারা মানভেদে ৬০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দুইশ বছর আগে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর ও কুড়িয়ানায় শুরু হয়েছিল স্থানীয় জাতের পেয়ারার চাষাবাদ। পরবর্তীতে এ চাষাবাদ পুরো আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন ছাড়াও জলবাড়ি ইউনিয়নের কিছু অংশ এবং পাশের ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
ঝালকাঠির ভিমরুলী ভাসমান পেয়ারা হাটও ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠে। তবে সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর আকারে কিছুটা ছোট ও ফলন কম হয়েছে। তবে দাম নিয়ে খুশি চাষীরা।
আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের পরামর্শ এবং পেয়ারা থেকে জেলি, জ্যাম ইত্যাদি উৎপাদনে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। ঝালকাঠিতে ৫৬২ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত পেয়ারা বিক্রি হবে ১০-১২ কোটি টাকায়।
ডিবিসি/ এইচএপি