সরকার পুঁজিবাজার উন্নয়নে গত আট মাসে বিভিন্ন সংস্কার পদক্ষেপ নিলেও ফেরেনি আস্থা, ঘুরে দাঁড়ায়নি বাজার। অচলাবস্থা দূর করতে এবার বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনে পুঁজিবাজার সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংগঠন, বাংলাদেশ ক্যাপিট্যাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের এই উদ্যোগ চ্যালেঞ্জিং। ভিনদেশি অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশের বাজার সংস্কার সম্ভব হবে না।
রবিবার (১১ই মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পুজিঁবাজরের উন্নয়নে বৈঠকে ৫ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেখানে বর্তমান কমিশনকে বহাল রেখে বিদেশী বিশেষজ্ঞ এনে বাজার সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিট্যাল মার্কেট ইনভেস্টর এ্যাসোসিয়েশন। আর বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ এনে পুজিঁবাজার সংস্কার চ্যালেঞ্জিং বলছেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুঁজিবাজার শক্তিশালী করতে বিগত সরকারকেই অনুসরন করছে বর্তমান সরকার। সিদ্ধান্ত যাই হোক, বাস্তবায়নের উপরই জোর দিয়েছেন তারা।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আস্থাহীনতা আর হতাশা যেন সমর্থক শব্দ ছিল দেশের পুজিঁবাজারের জন্য। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশার আলো দেখেছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
পুজিঁবাজারকে শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়। খন্দকার রাশেদ মাকসুদ কমিশন বাজার সংস্কারে নড়েচড়ে বসে। কিন্তু বাজারে আস্থা ফেরেনি, বেড়েছে অস্থিরতা।
ডিবিসি/ রাসেল