আন্তর্জাতিক

পুরো গাজা দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৫ই আগস্ট ২০২৫ ১১:০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে দখল করার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভাকে নির্দেশ দিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজায় চলমান যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। যদিও এতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর তীব্র আপত্তি এবং জিম্মিদের জীবন ঝুঁকি রয়েছে।

টাইমস অফ ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, নেতানিয়াহু সম্প্রতি ব্যক্তিগত আলোচনায় গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের এই পরিকল্পনাকে 'উপত্যকা দখল' হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা তার আগের অবস্থান থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।

 

ওয়াইনেট নিউজ সাইট প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, "চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে—আমরা গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখল করতে যাচ্ছি।" তিনি যোগ করেন, "যেসব এলাকায় জিম্মিদের রাখা হয়েছে, সেখানেও অভিযান চালানো হবে। যদি সেনাপ্রধান এতে রাজি না হন, তবে তার পদত্যাগ করা উচিত।"

 

আইডিএফ বর্তমানে গাজা উপত্যকার প্রায় ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাকি অঞ্চলও দখল করে পুরো ছিটমহলটিকে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। তবে এই ধরনের পদক্ষেপ গাজার লক্ষ লক্ষ বেসামরিক নাগরিক এবং সেখানে কর্মরত মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য কী পরিণতি বয়ে আনবে তা স্পষ্ট নয়।

 

আইডিএফ শুরু থেকেই এই সম্পূর্ণ দখলের বিরোধিতা করে আসছে। সেনাবাহিনীর মূল্যায়ন অনুযায়ী, হামাসের সমস্ত পরিকাঠামো ধ্বংস করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো, সেনারা জিম্মিদের আস্তানার কাছাকাছি পৌঁছালে তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।

 

বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায়ও বিভক্তি দেখা দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, নেতানিয়াহুর এই আগ্রাসী পরিকল্পনার পক্ষে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারের মতো কট্টরপন্থীরা।

 

অন্যদিকে, আইডিএফ প্রধান ইয়াল জমির, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবিসহ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানরা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তহীন।

 

সূত্র: টাইমস অফ ইসরায়েল

ডিবিসি/এমএআর

আরও পড়ুন