পুরো গাজা উপত্যকা দখলের জন্য ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে সমর্থন প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, "বিষয়টি ইসরায়েলের উপরই নির্ভর করবে।"
ট্রাম্প বলেন, তার প্রধান লক্ষ্য হলো গাজার অধিবাসীদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা। ট্রাম্প আরও বলেন, "ইসরায়েল এই খাদ্য বিতরণে এবং অর্থায়নের ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করবে।" এবং "আরব রাষ্ট্রগুলোও অর্থ এবং সম্ভবত খাদ্য বিতরণের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করবে।"
টাইমস অফ ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, নেতানিয়াহু সম্প্রতি ব্যক্তিগত আলোচনায় গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের এই পরিকল্পনাকে 'উপত্যকা দখল' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আইডিএফ বর্তমানে গাজা উপত্যকার প্রায় ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাকি অঞ্চলও দখল করে পুরো ছিটমহলটিকে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। তবে এই ধরনের পদক্ষেপ গাজার লক্ষ লক্ষ বেসামরিক নাগরিক এবং সেখানে কর্মরত মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য কী পরিণতি বয়ে আনবে তা স্পষ্ট নয়।
আইডিএফ শুরু থেকেই এই সম্পূর্ণ দখলের বিরোধিতা করে আসছে। সেনাবাহিনীর মূল্যায়ন অনুযায়ী, হামাসের সমস্ত পরিকাঠামো ধ্বংস করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো, সেনারা জিম্মিদের আস্তানার কাছাকাছি পৌঁছালে তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।
তবুও গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে দখল করার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভাকে নির্দেশ দিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজায় চলমান যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অফ ইসরায়েল
ডিবিসি/এমএআর