সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটন তখন পার করছে আরেকটি ব্যস্ততম দিন। আচমকা তখনই এক বন্দুকধারীর ঠান্ডা মাথার হত্যাযজ্ঞে প্রাণ হারালেন চারজন নিরপরাধ মানুষ, যার মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম। ঘাতক নিজেও পরে আত্মহত্যা করে শেষ করেন এই নারকীয় অধ্যায়ের।
এই ট্র্যাজেডির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম, এক বাংলাদেশি অভিবাসী যিনি নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যোগ দিয়েছিলেন শহরকে সুরক্ষিত রাখার স্বপ্ন নিয়ে। দুই সন্তানের জনক দিদারুলের স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী, পরিবারে নতুন অতিথির আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু ঘাতকের প্রথম শিকার হয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে তিনি বাঁচিয়ে গেছেন আরও অনেককে।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে, একটি কালো বিএমডব্লিউ গাড়ি এসে থামে '৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউ' এর সামনে। গাড়ি থেকে এম-৪ রাইফেল হাতে নেমে আসেন এক ব্যক্তি এবং সোজা ৪৪ তলা ভবনটির লবিতে প্রবেশ করেন। ঢুকেই তিনি প্রথম গুলি করেন কর্তব্যরত অফিসার দিদারুল ইসলামকে।
এরপর তার নারকীয় মিশন চলতে থাকে। লবিতে এক নারীর ওপর গুলি চালান, সিকিউরিটি ডেস্কের কর্মীকে হত্যা করেন এবং লিফটের জন্য অপেক্ষা করার সময় আরও একজনকে গুলি করেন। এরপর লিফটে করে সোজা চলে যান ৩৩ তলায়, যেখানে ভবনটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান রুডিন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির অফিস। সেখানে আরও এক নারীকে হত্যার পর নিজের বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন হামলাকারী।
পুলিশ জানিয়েছে, এই নৃশংস হত্যাকারী ২৭ বছর বয়সী শেন তামুরা, লাস ভেগাসের বাসিন্দা। তার মানসিক সমস্যার পুরনো রেকর্ড থাকলেও, ঠিক কী কারণে সে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেই উদ্দেশ্য এখনও রহস্যে ঘেরা।
ডিবিসি/এফএইচআর