সীমান্ত সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ই মে) চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনস্থ জগন্নাথপুর সীমান্তের শূন্য লাইনে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান এবং ১৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট শ্রী সুভাষ চন্দ্র গাঙ্গুয়ারসহ উভয় দেশের স্টাফ অফিসার, কোম্পানী কমান্ডার এবং ক্যাম্প কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর থেকে মুন্সিপুর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বাঁশের বেড়ার সাথে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে যেকোনো ধরনের নির্মাণ বা অবকাঠামো তৈরি আইনের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করা হয়। সীমান্তের শুন্য লাইন এলাকায় ড্রোন উড্ডয়ন এবং সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইন করার বিষয়টি বিএসএফের কাছে তুলে ধরে বিজিবি।
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে পুশইনের মত কোনো ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য বিএসএফ কম্যান্ড্যান্টকে অনুরোধ করেন। এছাড়া, আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু চোরাচালানের প্রবণতা বৃদ্ধি না পায় সেজন্যও দুই বাহিনীকে তৎপর থাকার বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে।
সীমান্ত সুরক্ষার লক্ষ্যে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম, চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্তে টহল তৎপরতা বৃদ্ধি এবং গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম অব্যহত রাখার বিষয়ে উভয়ই ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা একমত পোষণ করেন।
পতাকা বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বিজিবি জগন্নাথপুর এবং বিএসএফ গোংরা ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যমান সীমান্ত মেইন পিলার ৯৭সহ তৎসংলগ্ন এলাকার সাব পিলার, টি পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
ডিবিসি/ অমিত