খেলাধুলা, ক্রিকেট

পূর্বাচল স্টেডিয়ামের মাটি চুরির ঘটনায় বিসিবির তদন্ত কমিটি

খেলা ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৯ই ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৬:২৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

পূর্বাচল স্টেডিয়ামের উইকেট তৈরির জন্য কেনা মাটি চুরির ঘটনায় প্রায় ৩৭ লাখ টাকার বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই পরিস্থিতিতে মাটির খোঁজ পেতে এবং চুরির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

মাটি চুরির পাশাপাশি বর্তমানে মাঠে যে সামান্য পরিমাণ মাটি অবশিষ্ট রয়েছে, তা উইকেট তৈরির জন্য অনুপযুক্ত বলে জানিয়েছে বিসিবি। গ্রাউন্ডস কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট আশ্বাস দিয়েছেন, মাটি চুরির সাথে সম্পৃক্তদের দ্রুতই খুঁজে বের করা হবে।

 

বিসিবির তহবিল থাকলেও মাঠ তৈরির জন্য উপযুক্ত জমি পাওয়া দুষ্কর, অথচ পূর্বাচল স্টেডিয়ামের বিশাল এলাকা বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। নাজমুল হাসান পাপন, ফারুক আহমেদের বোর্ড এবং পরবর্তীতে বুলবুলের সময়কালেও মাঠ তৈরির আশ্বাস শোনা গেলেও তা কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি। 

 

এর মধ্যেই মাটি চুরির ঘটনাটি বিসিবির অব্যবস্থাপনাকে নতুন করে সামনে এনেছে। অন্তবর্তীকালীন বুলবুলের বোর্ডের সময় ২০ হাজার সিএফটি মাটি কেনা হলেও বর্তমানে পূর্বাচলে মাত্র সাড়ে সাত হাজার সিএফটি মাটি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার সিএফটি মাটি উধাও হয়ে গেছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা।

 

সে সময় গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মাহবুব আনাম এবং মাটি কেনা ও গ্রহণ করার দায়িত্বে ছিলেন বিসিবির কিউরেটর বদিউল আলম খোকন। মাটি লাপাত্তা হওয়ার ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার মাঠ পরিদর্শন করেন বর্তমান গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট। 

 

তিনি জানান, উইকেট তৈরির জন্য যে সাড়ে ৭ হাজার সিএফটি মাটি এখন মাঠে আছে, তার মান অত্যন্ত নিম্নমানের। প্রতি সিএফটি ১৮৫ টাকা দরে কেনা এই মাটি এখন আর উইকেট তৈরিতে ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফলে সব মিলিয়ে বিসিবির ৩৭ লাখ টাকার পুরোটাই লোকসান হয়েছে। 

 

তবে পাইলট আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে খেলা উপযোগী মাঠ তৈরি করা সম্ভব হবে। যদিও বিসিবির অতীত প্রজেক্টের ইতিহাস বিবেচনায় এই আশ্বাস কতটা আলোর মুখ দেখবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।


ডিবিসি/এএমটি

আরও পড়ুন