প্রচন্ড গরমে ফেনীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। দিনে যেমন রোদের খরতাপ তেমনি রাতে বইছে গরম হাওয়া। শুধু দিনের বেলা নয়, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না।
ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮- এর বেশি থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
আজ শুক্রবার (২১শে মে) দুপুর পর্যন্ত ফেনীতে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৩/৪ দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, তাই গরমে কষ্ট পেতে হবে আরো কয়েক দিন। অনেকেই গরম থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পানীয় পান করছেন।
অতিরিক্ত গরমের কারনে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। এক্ষেত্রে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে মৌলভীবাজারে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। তাপদাহে নাকাল জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন। বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গতকাল থেকে মৌলভীবাজারে আদ্রতা একটু বেশী। তবে সন্ধ্যায় তাপপ্রবাহ কমতে পারে অথবা বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সকাল থেকেই মৌলভীবাজারে গরম হাওয়া। রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও। এই গরমে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। কষ্ট হলেও জীবিকার তাগিদে গরমে কাজ করছেন তারা।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস জানায় ২০শে মে বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ (২১শে মে) সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা্ পযন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে পরে ঝড়-বৃষ্টিও হতে পারে। বাতাসের গতিবেগ কম আর আর্দ্রতা বেশি থাকায় মানুষের শরীর থেকে ঘাম ঝরছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষ তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। পরিবারের খাবার সংগ্রহে কষ্ট হলেও নিজ নিজ কাজ করে যাচ্চেন তারা।