বাংলাদেশ, জাতীয়

প্রচারবিমুখ বিশ্বমানের বাঙালী বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০১:৩৩:১৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

যে কয়েকজন বিজ্ঞানী বিশ্বের বুকে বাংলাকে উজ্জ্বল করেছেন জামাল নজরুল ইসলাম তাদের অন্যতম। সামগ্রিক মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে জামাল নজরুল ইসলাম করেছেন বিশ্বমানের গবেষণা।

স্টিফেন হকিংয়ের কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের অনেক আগেই জামাল নজরুল ইসলাম ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণবিবর নিয়ে বই লিখেছেন। আজ তার ৮২তম জন্মবার্ষিকী।

২০০১ সাল। এক ভবিষ্যৎবাণীকে ঘিরে বিশ্বে জুড়ে আতঙ্ক! ধ্বংস হতে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্নের বসুন্ধরা।  দমবন্ধ জনতার, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি-কী হবে, সত্যি কি ধ্বংস হবে ভালবাসার পৃথিবী!

গাণিতিক সমীকরণ দিয়ে সেই ভবিষ্যৎবানীকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিশ্ববাসীকে স্বস্তি দেন বাংলাদেশের এক বিজ্ঞানী। তিনি নিজ দেশে সমাদর না পাওয়া গণিতবিদ জামাল নজরুল ইসলাম, যিনি জে.এন ইসলাম নামেই বেশি পরিচিত।

১৯৩৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরে জন্ম। স্কুল কলেজের পড়াশোনা ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন দেশেরই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। তারপর ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে। যেখানেই তিনি গণিতের প্রতি দূর্বলতা অনূভব করেন।

১৯৬৭ সালে জামাল নজরুল ইসলাম কেমব্রিজের ইনস্টিটিউট অব থিওরেটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমিতে কাজ শুরু করেন। স্টিফেন হকিং পরে এসে সেখানে যোগ দেন।

মহাবিশ্বের পরিণতি কী হতে পারে বা কী হবে, এই জটিল বিষয়টা নিয়ে লেখা তাঁর 'দ্য আল্টিমেট ফেট অব দি ইউনিভার্স' বইটি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস থেকে ১৯৮৩ সালে প্রকাশ হওয়ার পর বেশ হই চই পড়ে যায়। বইটি জাপানি, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ ও যুগোস্লাভ ভাষায় অনূদিত হয়।

বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয় তার লেখা কৃষ্ণবিবর বইটি। তাছাড়া তার অন্যান্য বইয়ের তালিকায় আছে মাতৃভাষা ও বিজ্ঞান চর্চা ও শিল্প সাহিত্য ও সমাজ।

দেশের টানে বিদেশের লোভনীয় চাকরী ছেড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ড. ইসলাম।  ২০১৩ সালের ১৬ই মার্চ চট্টগ্রামেই ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।


আরও পড়ুন