সমিতির নামে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক খোরশেদুল কবীরের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন ভুক্তভোগী পাওনাদাররা।
বাড়ি ও অফিস থেকে আগেই উধাও হয়েছেন প্রতারক কবীর। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, তার হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নিজের মা, ভাই-বোনও। ধলপুরে নিজের বাড়িতে থাকতেন প্রতারক খোরশেদুল কবীর। স্বনির্ভর সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয়ও সেখানেই।
জমা করা টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় তার বাড়িতে প্রতিদিনই শত শত পাওনাদার ভীড় করছেন। সবার সারা জীবনের সঞ্চয় আর সহায় সম্বল নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন প্রতারক খোরশেদুল কবীর।
ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, 'আমি গার্মেন্টসে কাজ করে টাকা জমাইছি, আমার মা বাসা-বাড়িতে কাজ করে টাকা জমাইছে। ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা তার কাছে জমা ছিল। সেটাই সে নিয়ে চলে গেছে।'
কয়েকদিন আগে নিজের সেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রতারক খোরশেদুল কবীর। তালাবদ্ধ সমিতির কার্যালয়ও।
ভুক্তভোগী আরেক নারী বলেন, 'খাইরুল নামে একচজন টাকা নিতো, আর কবীর সাক্ষর করতো। এভাবে তারা টাকা নিলেও এখন বলছে যে সমিতি সম্পর্কে তারা কিছুই জানেনা।'
বহুরূপি প্রতারণা করেছেন কবীর। একেকটি ফ্লাট বন্ধকও রেখেছেন তিন চারজনের কাছে।
এমনকি নিজের মা ও ভাই বোনদের সাথেও প্রতারণা করেছে কবীর। প্রতারক খোরশেদুল কবীরের ভাই খাইরুল কবীর বলেন, 'মানুষ তো নি:স্ব হয়েছেই, সাথে আমাদেরও নি:স্ব করে গেছে। এটা তো কবীরের বাড়ি না, এটা আমাদের সম্পত্তি। এখন তো এই বাড়িটাও আমরা হারাতে বসেছি আমরা, ভাইয়ের কারণে।'
৪৯ নং ওয়ার্ডের (ডিএসসিসি) স্থানীয় কাউন্সিলর বাদল সরদার বলেন, 'আমার পরিবারে প্রায় ৪২ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে পালিয়েছে। প্রশাসনের উচিত কবীরকে যে কোন মূল্যে গ্রেপ্তার করা।
পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগীদের তালিকা নিচ্ছেন তারা। প্রতারক কবীরকে ধরার চেষ্টাও চলছে।