চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হিসেবে পরিচিত এই টার্মিনাল পরিচালনায় ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করে। বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে করা এক রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়।
রিটে বলা হয়, দেশীয় অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক কোনো প্রতিযোগিতামূলক নিয়ম ছাড়াই সরকারি আনুকূল্যে গত ১৭ বছর ধরে এনসিটি পরিচালনা করে আসছিল। এরপর ২০১৯ সালে দুবাই-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে জিটুজি প্রকল্পের আওতায় এনসিটির দায়িত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, যেখানে পিপিপির শর্ত অনুযায়ী ২ হাজার কোটির পরিবর্তে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছিল মাত্র ২০০ কোটি টাকা।
বর্তমানে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড এনসিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে এবং তাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী আহসানুল করিম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন এবং বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এই রুলের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্নে আপসের সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন।
ডিবিসি/এএমটি