যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় রপ্তানিকারকদের মধ্যে সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে, তবে পুরোপুরি শঙ্কা কাটেনি।
উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রতিযোগী দেশ ভারত ও চীন যদি তাদের বর্তমান শুল্কহার আরও কমিয়ে আনে, তবে বাংলাদেশ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই আত্মতুষ্টিতে না ভুগে সরকারকে ধারাবাহিক দরকষাকষি চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
বাড়তি ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে মোট শুল্কহার ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। প্রতিযোগী দেশগুলোর শুল্কহারের কাছাকাছি হওয়ায় অনেকে স্বস্তি পেলেও মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিকারকরা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না।
বিজিএমইএ-এর সাবেক পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, নতুন শুল্কহার পরিবর্তিত না হলেও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের দাম ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। এর ফলে পণ্যের চাহিদা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর তেমনটা হলে বাংলাদেশি পোশাকের ক্রয়াদেশও কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমও একই ধরনের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাই বাড়তি শুল্ক ২০ শতাংশে নামায় আত্মতুষ্টিতে না থেকে সরকারকে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বিজিএমইএ-এর আরেক সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এর পাশাপাশি বন্দর, জ্বালানি ও রাজস্ব বিভাগসহ অভ্যন্তরীণ সব বাধা দূর করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
ডিবিসি/ এইচএপি