ইস্তাম্বুলের মুফতি এবং মসজিদের ইমামের নেতৃত্বে পোপ লিও প্রায় ২০ মিনিট ধরে ১০,০০০ মুসল্লি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই সুবিশাল স্থাপনাটি ঘুরে দেখেন। ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পোপ অত্যন্ত গভীর শ্রদ্ধা এবং নীরবতা পালনের মাধ্যমে এই পরিদর্শন সম্পন্ন করেছেন। 

পরিদর্শনের সময় পোপকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত দেখা যায়। মসজিদের মুয়াজ্জিন আসকিন তুনকার সাথে তিনি কৌতুকও করেন। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় একটি দরজায় ‘নো এক্সিট’ বা ‘বহির্গমন পথ নেই’ লেখা দেখে পোপ হাসতে হাসতে বিষয়টি উল্লেখ করেন। এর উত্তরে মুয়াজ্জিন তুনকা বলেন, “আপনাকে বের হতে হবে না, আপনি চাইলে এখানেই থেকে যেতে পারেন।”

মুয়াজ্জিন তুনকা সাংবাদিকদের জানান, পোপ মসজিদের আধ্যাত্মিক পরিবেশ অনুভব করতে চেয়েছিলেন এবং এই পরিদর্শনে তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন। তবে পোপ সেখানে কোনো প্রার্থনা করেননি, বরং স্থাপনাটি ঘুরে দেখেছেন। গত মে মাসে পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর লিও চতুর্দশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না, তাই তার এই সফর এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে তার মিথস্ক্রিয়া বিশ্বজুড়ে গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

রবিবার পর্যন্ত তুরস্কে অবস্থান করে পোপ এরপর লেবানন সফরে যাবেন। উল্লেখ্য, তার পূর্বসূরিদের মতো তিনি নিকটবর্তী ঐতিহাসিক হায়া সোফিয়া পরিদর্শন করেননি। ২০২০ সালে হায়া সোফিয়াকে জাদুঘর থেকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তর করার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে এবং ভ্যাটিকানের সাথে তুরস্কের মতভেদ ছিল, যার প্রেক্ষিতেই তিনি সম্ভবত সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থেকেছেন।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

ডিবিসি/এমএআর