বাংলাদেশ, রাজধানী

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আরও ১১ আসামি কারাগারে

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

৩ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজধানী ঢাকার শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আরও ১১ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩শে ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তেজগাঁও থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার মামলায় ইয়াসিন (৩৯) ও হাসেম (২৪) নামের দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

 

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮ জনকে। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৭ জন কারাগারে রয়েছেন। মামলার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য; জনৈক আসামির কাছ থেকে হামলার সময় লুণ্ঠিত টাকা দিয়ে কেনা আসবাবপত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এজাহার অনুযায়ী, এই হামলায় আনুমানিক ৩২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার মধ্যে আড়াই কোটি টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

 

অন্যদিকে, একই দিনে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আরও ৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আসামিরা হলেন মাইনুল ইসলাম, জুলফিকার আলী সৌরভ, আলমাস আলী, জুবায়ের হোসাইন, আয়নুল হক কাশেমী, আবদুল রহমান পলাশ, জান্নাতুল নাঈম, কারি মুয়াজবীন আ. রহমান এবং ফয়সাল আহমেদ।

 

ঘটনার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১৮ই ডিসেম্বর রাতে ৩৫০ থেকে ৪০০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল সংবাদমাধ্যম দুটির কার্যালয়ে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। এ সময় ভবনটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ২০০টিরও বেশি ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং নগদ ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটির দাবি অনুযায়ী, সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

 

তেজগাঁও থানা পুলিশ বর্তমানে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে এই মামলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন ভিডিও চিত্র বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

ডিবিসি/এএমটি

আরও পড়ুন