প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় দেশে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক নির্মাণশৈলী আর নান্দনিক ডিজাইনের ৫৬০টি মডেল মসজিদ।
শুধু নামাজ আদায় নয়, এসব মসজিদ হবে গবেষণা, ইসলামী সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র। একসঙ্গে এত মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃইসলামী সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র।তি কেন্দ্র নির্মাণের ঘটনা দেশে এই প্রথম। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্পই হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের কাজ। এর মাধ্যমে ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তি আর ধর্মের অপব্যাখ্যা অনেকটাই দূর হবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
আধুনিক নির্মাণশৈলী আর নান্দনিক ডিজাইনের এই মসজিদগুলো নির্মাণ হচ্ছে বাংলাদেশেই। দেশের প্রতি জেলা ও উপজেলায় এমন ৫৬০টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে, যার পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধানের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয় আওয়ামী লীগ। সরকার গঠনের পর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ৮ হাজার ৭২২ কেটি টাকা ব্যয়ে দেয়া হয় এ প্রকল্প অনুমোদন। ৪০ শতাংশ জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এরইমধ্যে চলতি বছরের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০ টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিন ক্যাটাগরিতে নির্মিত এ মসজিদগুলোতে জেলা পর্যায়ে একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন ১২শ' মুসল্লি। আর উপজেলা পর্যায়ের মসজিদে ৯শ' মুসল্লি। একসঙ্গে এত মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের ঘটনা দেশে এই প্রথম। এর মাধ্যমে ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তি আর ধর্মের অপব্যাখ্যা অনেকটাই দূর হবে।
অত্যাধুনিক এসব মসজিদে থাকছে হজ নিবন্ধন, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের ট্রেনিং সেন্টার, শিশুদের আরবি শেখার সুযোগ, মরদেহ গোসল, অটিজম কর্ণার, শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্রসহ বিশাল হেফজখানা। যেখানে প্রতি বছর তৈরি হবে ১৪ হাজার হাফেজ।
জেলা পর্যায়ে ৪ ও উপজেলা পর্যায়ে ৩ আর উপকূলীয় এলাকায় ৪তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে। এর মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ও চর্চা আরো বাড়বে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।