শরীরের ভেতরে কোন রোগ বাসা বাঁধছে, তা আমরা সহজে বুঝতে সক্ষম নই। তবে বাইরে বিভিন্নভাবে তার লক্ষণ দেখা যায়। তার মধ্যে একটি হলো প্রস্রাবের রং। প্রস্রাবের রং দেখেই বোঝা যাবে কোন রোগে আক্রান্ত আপনি।
সাধারণত শরীর সুস্থ থাকলে প্রস্রাবের রং হালকা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। তবে শরীরে জলের পরিমাণ বেশি থাকলে প্রস্রাবের রং হয় একেবারে স্বচ্ছ। আবার প্রস্রাবের রং হালকা কমলা রঙের হলে তা ডিহাইড্রেশনের বার্তা দেয়। গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম ঝরার ফলে ডিহাইড্রেশন হয়। ফলে প্রস্রাবের রং হালকা কমলা হয়। একইভাবে গোলাপী, কমলা, লাল, কালো বা বাদামি রঙের প্রস্রাবও কোনও না কোনও শারীরিক সমস্যার বার্ত দেয়। জেনে নিন কোন রঙের প্রস্রাব কোন রোগের বার্তা দেয়।
ফ্যাকাশে হলুদ
এই রঙের প্রস্রাব শরীরে ইউরোবিলিন পিগমেন্ট উৎপাদনের কারণে সাধারণত প্রস্রাবের রং ফ্যাকাশে হয়। সাধারণত পানি কম খেলে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়। তবে শরীর যখন পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তখন কিডনি প্রস্রাব থেকে জল শোষণ করে। ফলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক রং ঘনীভূত হয়ে হলুদ রং ধারণ করে। তাই এমন হলে অতি অবশ্যই বেশি করে পানি খাওয়া জরুরি।
গাঢ় হলুদ
প্রস্রাবের রং যদি গাঢ় হলুদ হয়, সে ক্ষেত্রে জন্ডিসের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। তেমন হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করার কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলেও প্রস্রাবের রং হালকা কমলা বা হলুদ হতে পারে।
লালচে প্রস্রাব
প্রস্রাবের রঙে লালচে ভাব আসার অন্যতম কারণ হল মূত্রনালির সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ফলে অনেক সময় মূত্রাশয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেই কারণেই পরিবর্তন আসে প্রস্রাবের রঙে। এ ছাড়া কিডনিতে পাথর, ক্যানসারের মতো অসুখ হলেও এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
কালচে বাদামি
প্রস্রাবের রং কালচে বাদামি হলে, এই লক্ষণ কোনভাবেই এড়িয়ে যাবেন না। কারণ কিডনি ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ হতে পারে এটি। এ ছাড়া কিডনিতে পাথর কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ হলেও, প্রস্রাবের রং বাদামি হতে পারে।
ডিবিসি/এএসডি