বিবিধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রাচীনতম 'মৃত' ছায়াপথের খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২৯শে এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৭:৩০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বিগ ব্যাং-এর ১৩ বিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জেমসওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JSWT) ব্যবহার করে সবচেয়ে দূরবর্তী ছায়াপথটি খুঁজে পেয়েছেন, তবে এটি ইতিমধ্যেই তারা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং মৃত নক্ষত্রে পরিণত হয়েছে। ২রা এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে এসব।

RUBIES-UDS-QG-z7(the Red Unknowns: Bright Infrared Extragalactic Survey) নামক নতুন আবিষ্কৃত 'মৃত ছায়াপথ' থেকে আলো খুঁজে পেয়েছে বিজ্ঞনীরা। এটিকে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে দূরবর্তী এবং বড় 'মৃত ছায়াপথ' বলা হচ্ছে।

 

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের(UNIGE) জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক দল এই আবিষ্কারটি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন যে মহাবিশ্বে সক্রিয়ভাবে তারা তৈরি করা ছায়াপথগুলো সম্ভবত মহাবিশ্ব গঠিত হওয়ার শুরুর দিকে রয়েছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সেই ধারণা ভুল  প্রমাণ করে প্রকাশ করে যে ছায়াপথগুলো প্রত্যাশার চেয়ে আরও আগেই তারা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র মাই সাইন্স সুইজারল্যান্ড এর।

 

মৃত ছায়াপথ কী?

যে ছায়াপথ নতুন তারা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে তাকে "মৃত ছায়াপথ" বলা হয়। এটি তখন ঘটে যখন একটি ছায়াপথ তার গ্যাসের সরবরাহ, প্রধানত হাইড্রোজেন, যা নতুন তারার জন্মের জন্য অপরিহার্য, তা ব্যবহার বন্ধ করে। পর্যাপ্ত ঠান্ডা এবং ঘন গ্যাস ছাড়া, তারার গঠন স্থবির হয়ে পড়ে।

 

নক্ষত্রীয় বায়ু, সুপারনোভা, অথবা কৃষ্ণগহ্বরের কার্যকলাপের মতো প্রক্রিয়াগুলোও এই গ্যাসকে গ্রহণ করতে পারে না। ফলস্বরূপ, ছায়াপথটি ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায়, বৃদ্ধ নক্ষত্রে পরিণত হয় এবং সেই নক্ষত্র এর জায়গা নেওয়ার মত আর কোনো নক্ষত্র থাকে না ঐ ছায়াপথে।

 

এর আগে প্রাচীনতম "মৃত" ছায়াপথ, JADES-GS-z7-01-QU, গত বছরের মার্চ মাসে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JWST) এর খোঁজ পায়। মহাবিশ্বের বয়স যখন মাত্র ৭০ কোটি বছর তখন এটি তারা তৈরি করা বন্ধ করে দেয়।

 

ডিবিসি/এমএ

আরও পড়ুন