গত মাসে ভারতের আহমেদাবাদে ২৬০ জনের প্রাণহানির কারণ হওয়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের পরপরই বিমানটির উভয় ইঞ্জিনের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ দুটি বন্ধ বা 'কাট-অফ' পজিশনে চলে গিয়েছিল।
ভারতের এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) কর্তৃক প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বিমানটির পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথনও সামনে আনা হয়েছে।
গত ১২ই জুন, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি (ফ্লাইট AI171) আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৪১ জন যাত্রী ও ক্রু এবং ভূমিতে থাকা ১৯ জনসহ মোট ২৬০ জন নিহত হন। একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় যাত্রী সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
প্রাথমিক তদন্তের মূল তথ্যসমূহ:
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটির দুটি ইঞ্জিনের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ 'রান' (RUN) পজিশন থেকে 'কাট-অফ' (CUTOFF) পজিশনে চলে আসে, যার ফলে ইঞ্জিন দুটিতে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য অনুযায়ী, একজন পাইলট অন্যজনকে জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি কেন কাট-অফ করলেন?" জবাবে অন্য পাইলট বলেন যে তিনি তা করেননি। এই কথোপকথন থেকে স্পষ্ট যে, পাইলটরা নিজেরাও এই ঘটনায় বিভ্রান্ত ছিলেন।
সুইচগুলো পুনরায় 'রান' পজিশনে আনা হলেও একটি ইঞ্জিন কিছুটা শক্তি ফিরে পেলেও অন্যটি স্থিতিশীল হতে ব্যর্থ হয়। ফলে বিমানটি উচ্চতা ধরে রাখতে পারেনি।
ইঞ্জিনের শক্তি হারানোর সাথে সাথেই বিমানের জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা (Ram Air Turbine) সক্রিয় হয়ে গিয়েছিল।
তদন্তকারীরা এখনও খতিয়ে দেখছেন কীভাবে এই ফুয়েল সুইচ দুটি বন্ধ হয়ে গেল। এটি কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি, পাইলটদের অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি অন্য কোনো কারণে ঘটেছে তা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে জানা যাবে।
তথ্যসূত্র সিএনএন।
ডিবিসি/এমইউএ